1. news@sadhinbanglanews24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

বেড়েই চলেছে আলুর দাম

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০১ বার

অনলাইন সংবাদ: যশোরের বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দামও। বরাবরের মতো সবজির দাম ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষ কে।

যশোরের বাজারে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। শুক্রবার শহরের বড়বাজারে আলু বিক্রি হয় ৭০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। পুরো বছর যাবত আলুর বাড়তি দাম ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষ কে।

এমনকি চলতি বছর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে মৌসুম থাকলেও আলুতে বাড়তি দাম অব্যাহত ছিল। আড়তদারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত আলু না পাওয়ায় বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে এমন তথ্য জানান বিক্রেতারা। আলুর পাশাপাশি স্বস্তি নেই পেঁয়াজেও।

জরুরি এ নিত্যপণ্যর দাম আরেক দফা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১২০থেকে ১৪০টাকা কেজিতে। বাজারে সরবরাহ সংকট না থাকলেও, পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। সেই সাথে কোন নিত্যপণ্যই স্বস্তি মিলছে না।

বড়বাজারের মুদি বিক্রেতা লিটন সাহা বলেন, আড়তদাররা আলু বিক্রি করছে না খুচরা বিক্রেতাদের কাছে। বাজারে আলুর সংকটের কারনে দাম বেড়েছে। আরেক বিক্রেতা বিপ্লব পালও একই কথা জানান। মশলা বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, আলুর মতো পেঁয়াজেও সংকট শুরু হয়েছে, তাই দাম বাড়ছে। আড়ত থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আসছে না বাজারে।

খালধার রোডের আকবর রনি বলেন, দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৩০০ টাকা খরচ হয়ে গেলো। আরও অনেক বাজার খরচ বাকি রয়েছে। আর কতদিন এ অবস্থা চলবে। মোল্লাপাড়ার জিনাত রেহানা বলেন, শুক্রবারটা আমাদের একটা আনন্দের দিন, অনেকটা ঈদের দিনের মতো করেই আমরা এদিন ভালো খাবারের আয়োজন করি। কিন্তু এখন আর ভালো খাওয়ার কথা ভাবতে পারি না, আয়োজন তো বহুদূর। বেজপাড়ার ফেরদৌসী বেগম বলেন, আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে তাই প্রশাসন বা সরকার কারোই কিছু এসে যায় না।

এদিকে, অন্যান্য মশলার মধ্য রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে। আদা ১২০ থেকে ২২০ টাকা। জিরা ৭০০ থেকে ৮০০টাকা। গোলমরিচ এক হাজার ২০০ টাকা। দারুচিনি ৬০০ থেকে ৭০০টাকা। লবঙ্গ এক হাজার ৮০০টাকা। এলাচ তিন হাজার ২০০ থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগি ২৯০টাকা। লেয়ার মুরগি ৩২০টাকা কেজি। দেশি মুরগি ৫০০ টাকা। গরুর মাংস ৭০০ টাকা। খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা কেজিতে। অন্যান্য মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০টাকা কেজি।

সিলভার কার্প ২০০ থেকে ২৫০টাকা। শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০টাকা। টাকি ৪০০টাকা। কই ২০০টাকা। পাবদা ৫০০টাকা। রুই ২৫০ থেকে ৫০০টাকা। কাতলা ৩০০ থেকে ৬০০টাকা। চিংড়ি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। এ সপ্তাহেও ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা হালিতে। সোনালী মুরগির ডিম ৫২ টাকা। দেশি মুরগির ডিম ৬০ টাকা। হাঁসের ডিম ৭৬টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২ থেকে ১৪ টাকা হালি।

কোনো কারণ ছাড়াই এ সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০টাকা কেজিতে। শীতকালীন সবজির মধ্য শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। ফুলকপি ১২০ থেকে ১৬০, গাজর ১৬০ থেকে ১৭০টাকা, টমেটো ১৮০, বাধাকপি ৮০, মুলা ৫০টাকা। অন্য সবজির মধ্য ঢেড়স ও কাকরোল ৮০, কাচকলা, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল, চালকুমড়া, পটল, ঝিঙ্গে ৫০, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিছ। উচ্ছে ১০০, করলা, কচুরমুখি, কচুরলতি ৭০, মেটে আলু, ওল ৯০ মিষ্টি কুমড়া ৬০, পেঁপে ৪০, বরবটি ১২০, শসা ৬০টাকা।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। স্বর্না চাল ৫২ থেকে ৫৬টাকা কেজি। আঠাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। কাজললতা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বাসমতি ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা। নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮২টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে। খোলা আটা ৪০ থেকে ৪২ টাকা। প্যাকেট আটা ৫০ টাকা। লবন ৪০টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা কেজি। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা লিটার। মুগ ডাল ১৬০ থেকে ১৭০টাকা। মসুরের ডাল ১০৫ থেকে ১৪০টাকা। ছোলার ডাল ১৪০টাকা। বুটের ডাল ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র :গ্রামের কাগজ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

আর্কাইভ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Feb    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০

স্বাধীন বাংলা নিউজ 24.com limited কর্তৃক প্রকাশিত।

Theme Customized By BreakingNews