জাহিদ আহমেদ লিটন স্টাফ রিপোটার যশোর।।
দলবাজি সাংবাদিকতা নয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নয়, গণমানুষের মনের কথা পত্রিকার পাতায় তুলে ধরে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে গ্রামের কাগজ হয়ে উঠেছে গণমানুষের। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি অনুসন্ধানী সংবাদের জন্য গ্রামের কাগজ সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছে। পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে। সম্প্রতি ‘যশোর জেলায় সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠান (সিএসও) ও গণমাধ্যমের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এখানকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ ও অধিকার আদায়ে তাদের কণ্ঠস্বর জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অধীনে গ্রামের কাগজ সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট সাকমিডের সহ অংশীদার হিসেবে কাজ করে সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠান এবং প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের বস্তু নিষ্ট সংবাদের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। যা আগামীতে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট সাকমিডের আয়োজনে ‘ডিসেমিনেশন কর্মশালা: অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন বিশ্লেষকরা।
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাকমিডের বোর্ড অব ট্রাস্টিস এর সদস্য নজর-ই-জিলানী। জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. মারুফ নাওয়াজের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা করেন সাকমিডের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ কামরুল হাসান ও প্রকল্পের সহ-অংশীদার দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন। আয়োজনে প্রকল্পের ফেলোগণ, ফ্যাক্ট চেকার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সিএসও-এর নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। এতে প্রকল্প সংক্ষেপ উপস্থাপনা করেন সাকমিডের প্রোগ্রাম অফিসার শাহিনুর ইসলাম ও আবু সুফিয়ান। কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন আজকের আরবানের প্রকাশক ও সম্পাদক সৈয়দ আরিফুজ্জামান, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা (টিইউএস) ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার ফারুক আহমেদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ কাজী আজম, এমআরডিআই এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর জান্নাতুন নাহার অংকন, ফ্যাক্টচেকার শুভাশীষ দাস রায় দীপ গ্রামের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক আসাদ আসাদুজ্জামান, বার্তা সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, অনলাইন এডিটর জাহিদ আহমেদ লিটন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ফয়সল ইসলাম, সোস্যাল মিডিয়া এডিটর স্বপ্না দেবনাথ, ফ্যাক্টচেকিং কর্ণারের টিম মেম্বার ও স্টাফ রিপোর্টার খায়রুজ্জামান আকাশসহ অন্যরা।
আয়োজনে প্রধান অতিথি সাকমিডের বোর্ড অব ট্রাস্টিস এর সদস্য নজর-ই-জিলানী বলেন,
সৎ সাংবাদিকতা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। সৎ সাংবাদিকতা সত্যের আরাধনা করে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা সমাজকে অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সচেতন হতে শেখায়। বর্তমানে সমাজে নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধ শব্দের ব্যবহার বাড়লেও চর্চা কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন নীতি নৈতিকতা মূল্যবোধ চর্চা এবং তা প্রসার ও প্রচারে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
আয়োজনের সভাপতি জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ তার বক্তৃতায় বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক। রাষ্ট্র ও জাতি গঠনের জন্য কাজ করেন সাংবাদিকরা কিন্তু তাদের উন্নয়নে সুযোগের অভাব এমন অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণ সব সাংবাদিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কেননা একটি ভুল নিউজ রাষ্ট্র ও সমাজকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিতে পারে। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিইউট এ বিষয়ে অগ্রগামি। সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সাকমিড ও গ্রামের কাগজসহ গণমাধ্যম উন্নয়নে কাজকরা সংস্থাকে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট সহযোগিতা করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট সাকমিড বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে গণমাধ্যম স্বাক্ষরতা বৃদ্ধি, নারী উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানান উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্পাদন করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড ও আর্টিকেল নাইনটিন এর তত্ত্বাবধানে জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে দৈনিক গ্রামের কাগজের সহ-অংশীদারিত্বে ‘যশোর জেলায় সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠান (সিএসও) ও গণমাধ্যমের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এখানকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ ও অধিকার আদায়ে তাদের কণ্ঠস্বর জোরদারকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
Leave a Reply