1. news@sadhinbanglanews24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

যশোরের মুন্সি মেহেরুল্লাহনগর রেল স্টেশন পুনরায় চালুর দাবি এলাকাবাসীর

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার
মিজানুর রহমান, যশোর ॥
যশোরের চুড়ামনকাটির ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লাহনগর রেলস্টেশনটির সব কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। রেলস্টেশনটি পুনরায় আধুনিকায়ন করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শাটল ট্রেন চালুর দাবি এলাকাবাসীর। শাটল ট্রেন চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সময় ও আর্থিক অপচয় রক্ষা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী। এছাড়া ট্রেনে সবজি পরিবহণে এ স্টেশনটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা সবজি উৎপাদনের রাজধানী বলে খ্যাত যশোরের বারীনগর ও চুড়ামনকাটির ভেতরেই স্টেশনটির অবস্থান।
কর্মবীর মুন্সি মেহেরুল্লাহ একজন দেশবরেণ্য ব্যক্তির নাম। ইসলাম ধর্ম প্রচারক হিসেবেই সবাই তাকে চেনেন-জানেন। বৃটিশ শাসনআমলে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ধর্মীয় সভা করে বেড়াতেন। কর্মবীর এই ব্যক্তির জন্ম যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে। মহান এই ব্যক্তির নামে ১৯১৩ সালে চুড়ামনকাটি বাজারের অদূরে প্রতিষ্ঠিত হয় মুন্সি মেহেরুল্লাহ রেল স্টেশনটি। এক সময় এই স্টেশনে সব ট্রেন থামলেও বর্তমানে আর ট্রেন থামেনা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্টেশনটি । শুধুমাত্র একটি লোকাল ট্রেন থামে এখানে। কিন্তু নেই কোন দাফতরিক কর্মকান্ড।
১৯১০ সালে যশোর থেকে ঝিনাইদাহ পর্যন্ত ৪৬ কিলোমিটার ন্যারোগেজ রেলপথ নির্মাণ শুরু হয় ও ১৯১৩ সালে শেষ হয়। তৎকালীন সময়ে ঝিনাইদহ পর্যন্ত ১২টি রেলস্টেশন করা হয়। এর ভেতর চুড়ামনকাটিতেও একটি স্টেশন করা হয়। পরর্বীতে এর নামকরণ করা হয় মুন্সি মেহেরুল্লাহর নামে। তৎকালীন কেএমডিআ্যান্ড কোম্পানি এই রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব পালন করে। রেল লাইন শেষ করতে ১৩ লাখ টাকা খরচ হয়।এই রেলপথে চলাচলের জন্যে জার্মানি থেকে ৪টি ন্যারোগেজ লোকোমোটিভ আমদানি করা হয়। ১৯১৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে যশোর থেকে এই রেল যোগাযোগ শুরু হয়। বর্তমানে ঝিনাইদহের সেই রেল স্টেশনটির কোনো অস্তিত্ব নেই। লোকসানের কারণে ১৯৩৩ সালে এই পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সরকার রেলপথটি তুলে তৈরি করে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক। এর আগে ১৯৩৫-৩৬ সালে কোটচাঁদপুর দিয়ে বিকল্প একটি রেললাইন তৈরি করা হয়। বর্তমানে যশোর থেকে কোটচাঁদপুর দিয়ে পাকশী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেল যোগাযোগ চলমান রয়েছে।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মসিউল আযম বলেন, যশোর জেলার ভেতর সবচেয়ে পুরনো রেল স্টেশন হল এই মুন্সি মেহেরুল্লাহনগর স্টেশন। এক সময় সব ট্রেনই এই স্টেশনে থামতো। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্টেশনে থাকতো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বর্তমানে স্টেশনটি বন্ধ করে দিয়েছে রেল কৃর্তপক্ষ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মূল্যবান সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।
তিনি মনে করেন রেল স্টেশনটি চালু হলে এখনকার সবজি চাষিরা স্বল্প খরচে তাদের সবজি দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে পারবে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড.সাইবুর রহমান মোল্যা বলেন,শাটল ট্রেন চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ও স্বল্প খরচে যশোর শহর থেকে যাতায়াত করতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

আর্কাইভ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jan    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  

স্বাধীন বাংলা নিউজ 24.com limited কর্তৃক প্রকাশিত।

Theme Customized By BreakingNews