ক্রীড়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুর্দান্ত ছন্দটাই বিপিএলে টেনে এনেছেন তিনি দেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডে সংস্করণে সর্বশেষ চার ইনিংসে টানা চারটি অর্ধশত রান করা এই ব্যাটার আজও করেছেন ফিফটি। পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা ফরচুন বরিশালকে চার উইকেটের দুর্দান্ত জয় এনে দিয়েছেন তিনি। দলের জয়ে ফাহিম আশরাফ হাঁকিয়েছেন অর্ধশত রান। মাহামুদুউল্লাহর ৫৬ রানের বিপরীতে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন ফাহিম। দু’জনের ঝোড়ো ফিফটিতে ১১ বল বাকি রেখে জয় পায় বরিশাল।মাহমুদ উল্লাহ ২১৫.৩৮ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায়।
অন্যদিকে একটি চার ও সাতটি ছক্কায় ২৫৭.১৪ স্ট্রাইকরেটে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ফাহিম।স্কোর বোর্ডে দলীয় ৬১ রান তুলতেই পাঁচটি উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। সেই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের ত্রানকর্তা হন মাহমুদুউল্লাহ। তাকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম।এর আগে মিরপুরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই শুণ্য রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেন তামিম ইকবালও।
সাত রানে আউট হন তিনি। দলীয় ৩০ রানে তিনটি উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। ২১ রানের ছোট্ট জুটি গড়ে দলের শুরুর ধাক্কা সামাল দেন দু’জনে। তবে ১৩ রানে মুশফিক ফেরার পরেই সতীর্থকে অনুসরণ করেন ৩২ রান করা হৃদয়ও।
এর আগে এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন ইয়াসির আলি রাব্বি।
যেভাবে ব্যাটিং করেছেন তাতে আর কিছু বল পেলে সেঞ্চুরিটা করতে পারতেন। তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে হলে শেষ ওভারে ২৩ রান করতে হতো ইয়াসিরকে। রিপন মন্ডলের প্রথম বলে ডট হলেও টানা তিন বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ৯৩ রানে পৌঁছেন এ ব্যাটার।শেষ দুই বলে ইয়াসিরকে করতে হতো সাত রান। তবে পঞ্চম বলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি।
৯৪ রানে অপরাজিত থেকে পরে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। সেঞ্চুরির আক্ষেপ থাকলে দুর্বার রাজশাহীকে বড় স্কোরই এনে দিয়েছেন এই ব্যাটার। ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটে হাঁকানো সাতটি চার ও আটটি ছক্কার ইনিংসে দলকে ১৯৭ রান এনে দিয়েছেন ইয়াসির। দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোরে অবশ্য এনামুল হক বিজয়ের অবদানও কম নয়।সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন বিজয়। টি-২০ হিসেবে বল একটু বেশিই খেলেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক। অবশ্য শুরুতেই যেভাবে ধাক্কা খেয়েছিল রাজশাহী তাতে অ্যাঙ্করের ভূমিকাটা প্রয়োজন ছিল। ২৫ রানেই দু’টি উইকেট হারিয়েছিল রাজশাহী। সেখান থেকে ১৪০ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির-বিজয়। আউট হওয়ার আগে বিজয় ৫১ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায়।
Leave a Reply