
পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর।।
কেশবপুর পৌর শহরের ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো সিএনজি, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও হকারদের অবৈধ দখলে। যার ফলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচলে নানান সমস্যা এবং দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
যশোর-চুকনগর মহাসড়ক এবং সড়কের দু’পাশ অবৈধভাবে দখল করে সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। হকারেরা পৌরশহরের সকল ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন দোকানপাট বসিয়ে ক্রেতা ও পথচারীদের জীবনের ঝুকির মধ্যে ফেলে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা। যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়ক ও ফুটপাতের উপর থেকে দ্রুত অবৈধ স্থাপনা এবং দোকানপাট উচ্ছেদ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই।
বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়ক অবৈধভাবে দখল করে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ এবং পথচারীদের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করা যাবে না। অথচ আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের কতিপয় নেতারা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কেশবপুর পৌরশহরের থানার মোড়ে মহাসড়ক, ত্রিমোহিনী মোড়, হাসপাতাল মোড়ে সড়ক ও জনপথ দখল করে অবৈধভাবে সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে। চালকেরা মহাসড়ক ও সড়কের উপর যন্ত্রতন্ত্র গাড়ি পার্কিং এবং যাত্রী উঠানামা করানোর জন্য যানজটের সৃষ্টি দৃশ্যমান।
যেকোন সময় মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। শুধু তাই নয়! হকারেরা মহাসড়ক ও পৌরশহরের সকল ফুটপাত দখল করে পান, বিড়ি, সিগারেটের দোকান, ভাজাপোড়ার দোকান, চায়ের দোকান, চটপটির, পিঠার দোকান, জামাকাপড়ের দোকান বসিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব দোকানগুলোতে বেচাকেনা এবং ক্রেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের আড্ডা দেওয়ায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের চলাচলে নানাবিধ সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরের ফুটপাত ও সড়ক অবৈধ দখলবাজদের রিরুদ্ধে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনমনে নানা গুঞ্জন।
তবে, যানজট ও জনদূর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাথে কথা হলে, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং খর্নিয়া হাইওয়ে পুলিশ বলছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলবাজদের সকল স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply