মহিউদ্দিন খান (মামুন) :
নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে।পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা এগুলো ১২ এপ্রিল ভোরে এ ঘটনাটি ঘটে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ ঘটনায় শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটালেও প্রস্তুতি কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ধারণা, পৌনে ৫টা থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লেগেছে।
তবে কীভাবে এই আগুন লেগেছে তা আমরা এখনো নিশ্চিত না। দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এই কাজটি করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগুনে ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রার যে মোটিভ তৈরি করা হচ্ছিল সেগুলোই বেশি পুড়েছে ।এবার থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম আর থাকছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।জানা যায়, অনুষদের যেখানে মোটিফ তৈরির কাজ চলছিল সেখানে আগুনে দানবীয় ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতির মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শান্তির পায়রা মোটিফটিও আংশিক পুড়ে গেছে।চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোরে আগুন লেগে দুটি মোটিফ পুড়ে গেছে। জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছরের প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি।’ এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ। এটিকে ভারতে পালাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে।
Leave a Reply