ক্রীড়া ডেস্ক:রোনালদিনহোর হাত ধরে বিশ্বসেরার ব্যাটন পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর বার্সেলোনার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিন্তু মেসির সঙ্গে একই মাঠ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাননি তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরি লামিন ইয়ামাল। কারণ, মেসির ন্যুক্যাম্প ছাড়ার দুই বছর পরেই বার্সার মূল দলে অভিষেক হয় স্প্যানিশ এই টিনএজ সেনসেশনের।মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা ইয়ামালের খেলায় ফুটে উঠছে মেসির ছায়া। দুজনই বার্সেলোনার বিখ্যাত লা মাসিয়া একাডেমির রত্ন।
কাকতালীয়ভাবে এক বছর বয়সে ইউনিসেফের একটি অনুষ্ঠানে মেসির কোলে উঠার সৌভাগ্য হয়েছিল ইয়ামালের। সেদিন সেই আলিঙ্গনের সাক্ষী থাকলেও ফুটবল মাঠে কখনো একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের।ফুটবলপ্রেমীদের সেই অপূর্ণতা মিটে যেতে পারে আগামী বছর। ২০২৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ‘ফিনালিসিমা’-তে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে একে অপরের মুখোমুখি হতে পারেন মেসি ও ইয়ামাল। আর্জেন্টিনা ও স্পেনের এই মহারণ হবে দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নের লড়াই—কোপা আমেরিকা বিজয়ী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
২০২২ বিশ্বকাপের আগে ফিনালিসিমায় ইতালিকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। এবার এই প্রতিযোগিতা হয়ে উঠতে পারে অতীতের কিংবদন্তি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনার যুগপৎ উপস্থিতি। ৩৭ বছর বয়সি মেসি হয়তো সেদিন নিজ হাতে শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাটন তুলে দেবেন ইয়ামালকে—একটি যুগের শেষ, আরেকটি সূচনা।এই ঐতিহাসিক ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় রয়েছে তিনটি কিংবদন্তি স্টেডিয়াম—লন্ডনের ওয়েম্বলি, রিও ডি জেনিরোর মারাকানা ও বার্সেলোনার ন্যুক্যাম্প
যদি শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ন্যুক্যাম্পে হয়, তাহলে তা হয়ে উঠবে ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলোর একটি। কারণ, পেশাদার ফুটবলে দুই জাদুকর—মেসি ও ইয়ামাল—দুজনেরই যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাঠ থেকেই।এই সম্ভাব্য ফিনালিসিমা শুধুমাত্র একটি ম্যাচ নয়; এটি হতে যাচ্ছে দুই প্রজন্মের মহামিলন, যেখানে একদিকে মেসির বিদায়ী অধ্যায়, অন্যদিকে ইয়ামালের উত্থান। ফুটবল বিশ্ব অপেক্ষা করছে একটি যুগান্তকারী মুহূর্তের জন্য—যেখানে পুরনো রাজার হাত থেকে মুকুট উঠতে পারে নতুন রাজপুত্রের মাথায়।
Leave a Reply