1. news@sadhinbanglanews24.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

নিত্যপণ্যর বাজার অপরিবর্তিত

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
  • ২৯ বার

মাহামুদুল হাসান আল মামুনঃ

অপরিবর্তিত রয়েছে যশোরের নিত্যপণ্যর বাজার। চাল, ডাল, সয়াবিন তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের মতো বাড়তি দামেই। তবে এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে ডিম ও মুরগির দাম।
বাজারে প্রতিটি পণ্যতে বাড়তি দাম অব্যাহত রয়েছে। আলু ছাড়া প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। তবে সাধারণ মানুষের আমিষ ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। কমেছে মুরগির দামও। দুই সপ্তাহ ধরে বাড়তি দামে বিক্রির পরে এ সপ্তাহে ডিমের দাম কিছুটা কমলো। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালিতে। যা গত সপ্তাহে ৪৬ টাকা হালিতে বিক্রি হয়। সোনালী মুরগির ডিম ৫০টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির ডিম ৬০টাকা। হাঁসের ডিম ৭০টাকা। কোয়েল পাখির ডিম ১২টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে মুরগির দামও। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৬০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৮০ টাকা কেজিতে। কমেছে সোনালী মুরগির দামও। বিক্রি হচ্ছে ২২০টাকা কেজিতে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২৪০থেকে ২৫০টাকা কেজিতে। লেয়ার মুরগি ৩২০টাকা। দেশি মুরগি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০টাকা। খাসির মাংস এক হাজার ২০০টাকা। মাছের বাজারে সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০টাকা কেজিতে। তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০টাকা। পাঙ্গাশ ১৬০, বাটা ১৬০, পুঁটি ৫০০, টেংরা ৫২০, মায়া ২৫০, চাপিলা, কই ১৮০ থেকে ২০০, পার্শ্বে ৫০০ থেকে ৬০০, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০, পাবদা ৪০০, বেলে ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা, ফলোই ৩০০ থেকে ৫০০, রূপচাঁদা ৪৫০, মৃগেল, কাতলা ২৫০, রুই ২০০, ইলিশ ৭০০ থেকে দুই হাজার ৫০০টাকা কেজি। চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজিতে। কাজললতা ৬২ থেকে ৬৫টাকা। পাইজাম ৫৮টাকা। আঠাশ ৬০ থেকে ৬২টাকা। মিনিকেট ৬৬ থেকে ৭২টাকা। বাসমতি ৮৬থেকে ৮৮ টাকা। নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৮টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারের চাল বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, মোটামুটি সব দোকানেই নতুন চাল এসেছে, তবু দাম কেন কমছে না তা আমরাও জানি না। আরেক বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, বেশি না কমলেও বাজারে নতুন চাল আসায় দাম কিছুটা তো কমেছে। আজকাল লোকে গ্রামের বাড়ি থেকে চাল আনছে অথবা সরাসরি মিল থেকে কিনছে, এ কারনে আমাদের বেচাবিক্রি কমছে।
ধর্মতলা এলাকার ইসমাঈল হোসেন বলেন, মৌসুমে চালের বাড়তি দাম মেনে নেয়া যায় না। বাজারে আলু ছাড়া প্রতিটি নিত্যপণ্যর দাম বেশি। সিটি কলেজপাড়ার ফেরদৌসী আক্তার বলেন, আমরা যারা মেসে থাকা শিক্ষার্থী, তারা সাধারণত আমিষ বলতে ডিমের ওপরে নির্ভরশীল। তাই ডিমের দাম বাড়লে আমরা সমস্যায় পড়ি। ডিমের দাম আরও কমাতে হবে। বেজপাড়া’র লাকী নূরজাহান বলেন, নিত্যপণ্যর বাজারের অস্থির অবস্থা দীর্ঘদিনের। মাঝে রোজার মাসে খানিকটা স্বস্তি থাকলেও আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে গেছে।

অন্যদিকে চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে ডালে। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। মসুরের ডাল ১০৫ থেকে ১৩৫টাকা। ছোলার ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। বুটের ডাল ৬০ থেকে ৬৫টাকা কেজি। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৯টাকা লিটার। খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫টাকা কেজি। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। প্যাকেট আটা ৫০টাকা। লবন ৪০টাকা কেজি। চিনি ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
মশলার বাজারে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ৫০০টাকা কেজিতে। গোলমরিচ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০টাকা। লবঙ্গ এক হাজার ৪০০ থেকে ৬০০টাকা। জিরা ৬৮০ থেকে ৭০০টাকা। দারুচিনি ৪০০থেকে ৬০০টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫টাকা। রসুন ১২০ থেকে ২০০টাকা। আদা ১২০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। আলু ২০টাকা কেজি। পটল ২০, মিষ্টি কুমড়া, এচোড়, ঢেড়স ৩০, মুলা, ৪০, ফুলকপি ১০০, বিটকপি ১৫০, বাধাকপি ৫০, টমেটো, গাজর ৪০, কাচকলা, ঝিঙ্গে, চালকুমড়া ৫০, সজিনা ১০০, পেঁপে, কচুরলতি, বেগুন ৬০, চিচিঙ্গা, লাউ ৪০, উচ্ছে, বরবটি, কাকরোল, কচুরমুখি ৮০, শসা ৫০ থেকে ৬০, করলা ৬০টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

আর্কাইভ

May ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Apr   Jun »
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  

স্বাধীন বাংলা নিউজ 24.com limited কর্তৃক প্রকাশিত।

Theme Customized By BreakingNews