নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:
নেছারাবাদে তিন সন্তানের জননী রুমানা বেগম(৩০) নামে এক গৃহবধূকে শাশুড়ি,ননদ,স্বামীর বিরুদ্ধে বেদম মারদর করে গৃহবন্ধি করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশিরা টের পেয়ে শাশুড়ি,ননদ,স্বামীর নির্যাতনে অচেতন নারীকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যার পরে উপজেলার সোহাগদলের বছরাকাঠি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহত ভুক্তভোগী নারী কিছুটা সুস্থ হয়ে শুক্রবার সকালে স্বামী রিপন মিয়া, শাশড়ি কহিনুর বেগতম ও ননদ শিমু আক্তারের বিরুদ্ধে নেছারাবাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিষয়ে রুমানা বেগমকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সোনা যায় রুমানা মাটিতে লুটিয়ে থাকা অবস্থায় স্বামী রিপন মিয়া বলেন ও যদি মরে যায় প্রয়োজনে আমি জেল খাটবো কোন সমস্য নাই। তখন স্থানীয় লোকজন এস রুমানে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ভিডিওতে শোনা যায় রিপন মিয়া তার স্ত্রীকে মারধরের কথা শিকার করে।
অভিযোগে ওই গৃহবধূ বলেন, ১১ বছর পূর্বে দিনমজুর রিপন মিয়ার সাথে তার বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তার স্বামী, শাশুড়ি এবং শশুরের সাথে পারিবারিক ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা লেগেই থাকত। সাংসারিক বিষয়ে নানা সময়ে মোটা অংকের যৌতুকের দাবি করে রুমানে অমানুসিক নির্যাতন করত। সংসারে একটু ভাল থাকার আশায় ওই গৃহবধূ যখন যা পারত বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে দিত।
তার মধ্যে ছয় বছরের ব্যবধানে সংসারে তিনটি সন্তান আসে। তার সব চিকিৎসা খরচ বাবার বাড়ী থেকে বহন করতে হয়েছে। এতে তার বাবা,ভাইয়েরা অনেক ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনার কয়েকদিন পূর্ব থেকে তার শাশুড়ি রুমানেকে পূনরায় বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনতে বলে। এ নিয়ে নতুন করে ঝামেলা শুরু হয়। টাকা এনে দিতে না পারায় শাশুড়ি আমাকে খেত দিতনা। সংসারের নানা কাজের অযুহাতে গালিগালাজ করত। প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন শাশুড়ি,ননদ,স্বামী আমাকে বেদম মারদর করে পেটের নিচে লাথি মারলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে গৃহবধূ রুমানা বেগমের স্বামী রিপন মিয়া বলেন, ওর মত স্ত্রী মরে যাওয়া অনেক ভাল। স্ত্রীর অপরাধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সে সংসারে কোন কাজকর্ম করেনা। খালি পান খায় এবং অন্যর বাড়ীতে আড্ডা মারে। তাই ওর বেচে থাকার অধিকার নেই।
নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply