নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
নেছারাবাদে সাথী হালদার (২১) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিহত গৃহবধুর পিতা তপন চন্দ্র হাওলাদার দাবী তার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তপন চন্দ্র হালদার বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে (০১ জুন) সকালে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠিয়েছে।
অভিযোগের সূত্রে জানাগেছে, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার মঠবাড়ীয়া গ্রামের তপন চন্দ্র হাওলাদার মেয়ে সাথী হালদরকে বিগত তিন বছর পূর্বে নেছারাবাদ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নেপাল হালদারের সাথে বিয়ে দেন। তাদের সংসাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে টাকা পয়সার জন্য চাপ সৃষ্টি করিত। মেয়ের সুখের জন্য স্বাধ্যমত বার বার তাকে অনেক টাকা দিয়েছেন।
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয় শালিশ বৈঠকও হয়েছে। সর্ব শেষ বাড়ীতে ঘর তোলার লক্ষ্যে বালু ভরাটের জন্য ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। অবশেষে শনিবার বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে মেয়ে তার ভাইয়ের কাছে একটি ভয়েস রেকডিং বার্তা পাঠায়, যার মধ্যে কান্নার শব্দ পাওয়া যায় এবং ৫ টা ১৫ মিনিটের সময় জামাই নেপাল হালদার ফোন করে জানায় সাথী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পৌছে দেখতে পাই ঘরের চৌকাঠের সাথে আমার মেয়ে সাথীর ঝুলন্ত দেহ, পা মাটিতে ঠেকানো। আমার অভিযোগ আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ মো.বনি আমিন বলেন, ঘটনা সংক্রান্তে অভিযোগ পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply