নিউজ ডেক্স,
যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে শিশুদের খেলাধুলা নিয়ে শুরু হওয়া ঝগড়া শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এতে স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবাদুল শেখসহ দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুরও করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর বরাতে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে কমলাপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের সাত বছরের মেয়ে তাসলিমা খাতুন এবং প্রতিবেশী আমিনুর রহমান দফাদারের সাত বছরের ছেলে শিহাব হোসেন খেলার সময় ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। শিশুদের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার আশ্বাস দেন।
পরদিন মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় শহিদুল ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে সালিশ বসে। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবাদুল শেখ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সালিশ চলাকালে সিদ্ধান্ত আমিনুর রহমান দফাদারের বিপক্ষে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে এবাদুল শেখকে ‘ঘুষ খেয়ে বিচার করছিস’ বলে পেছন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেন এবং ছুরি দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন।
আঘাত ঠেকাতে গিয়ে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য তুহিন মোড়ল গুরুতর আহত হন। ছুরির কোপ তার বুকের বাম পাশে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর সালিশে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে আমিনুর রহমান ও তার পিতা আব্দুস সালাম দফাদারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল জানান, আহত এবাদুল শেখ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তুহিন মোড়লের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার অপারেশন করার প্রস্তুতি চলছে। পরিবারের সদস্যরা খুলনা থেকে ফিরলে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
এদিকে কেশবপুর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক আসমত আলী জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply