আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জর্ডান উপত্যকায় বৃহৎ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলবে এই মহড়া। খবরটি নিশ্চিত করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জর্ডান উপত্যকা অঞ্চলে আজ সারাদিনব্যাপী এই মহড়া চলবে এবং এতে বিপুল পরিমাণ সামরিক যানবাহন ও অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শন থাকবে। স্থানীয়দের মধ্যে এই মহড়াকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই মহড়া এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মাত্র একদিন আগেই ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ভোরে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
দুই সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও, ইসরাইলের এই মহড়া নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্যে।
গত ১৩ জুন থেকে ইরানে ভয়াবহ সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এ সময় দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিতে হামলা চালানো হয়। ইরানের বিভিন্ন সামরিক, বেসামরিক এবং আবাসিক ভবন ছিল ইসরাইলি হামলার মূল লক্ষ্য।
ইসরাইলি আগ্রাসনের জবাবে তেলআবিব লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। পাল্টা হামলার ধারাবাহিকতায় রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার কাতারের দোহায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।
এই প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের জর্ডান উপত্যকায় মহড়া চালানোকে একটি কৌশলগত বার্তা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নতুন মাত্রা নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Leave a Reply