
অনলাইন ডেস্ক,
যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ততম। ঝিনাইদহ থেকে যশোর পার্শ্ববর্তী ২ জেলার বেহাল দশা সড়কের। অব্যাহত বৃষ্টিতে আর দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে সড়কটি নষ্ট হয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ।
এই বেহালদশার কারণে সড়কের যাতায়াতকারী যাত্রীরা একে এতিম রাস্তা নাম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
ব্যস্ততম এ মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করে শ’শ’ যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি, ইজিবাইক, ভ্যান, রিকশা, নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ট্রাকসহ নানা রকম পণ্যবাহী ভারি ছোট-বড় যানবাহন। বেনাপোল, ভোমরা ও মংলা বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মালামাল আসা যাওয়া করে এ সড়ক দিয়ে।
চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যাত্রীরা এই সড়ক ব্যবহার করেন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হলো এটি। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতায়াত করেন শহর থেকে। এছাড়াও এলাকার শিক্ষার্থীরা যশোর শহরের কলেজে যাতায়াত করে চরম ঝুঁকি নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সড়কের এতটাই বেহাল অবস্থা যে সিএনজি বা ইজিবাইকে যাতায়াত করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে এই বর্ষায় রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে খুব দ্রুততম সময়ে সড়কটি চার লেনে উন্নীত হবে। কিন্তু চারলেনতো দূরের কথা , যে সড়ক রয়েছে তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত। দীর্ঘদিন এই অবস্থা হলেও সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো নজর দিচ্ছে না। প্রায়ই এই সড়কে সংঘটিত হচ্ছে নানা দুর্ঘটনা।
আব্দুর রহমান নামের একজন যাত্রীর অভিযোগ, তিনি নিয়মিত সিএনজিতে চলাচল করেন প্রতিদিন দুবার। সিএনজি থেকে নেমে মনে হয় তার মাজা আর সোজা হবে না।
রূপসা পরিবহনের চালক ইবাদত হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলে তো মনে হয় গর্ত আর রাস্তায় কোনো পার্থক্য নেই। বর্ষা না হলে ধুলাবালিতে সব একাকার হয়ে যায়। বর্তমানে রাস্তাটি এতিম। যে কারণে দেখার কেউ নেই।
যশোর-চৌগাছা সড়কের বাস চালক আমিরুল ইসলাম জানান, দ্রুত সড়ক সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি দিন দিন আরও বাড়বে। তিনি মনে করেন অর্থনৈতিক, ব্যবসাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ সড়ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠিী।
এই মহাসড়কের দ্রুত মেরামত ও চারলেনে উন্নয়নের জন্য সড়ক ব্যবহারকারী সকলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
Leave a Reply