
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় জলাতঙ্কে (র্যাবিস) আক্রান্ত গরু জবাই করে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘরেও বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে মাংস বিক্রেতা এক কসাই এর বিরুদ্ধে। এ সময় মাংস ব্যবসায়ী আল আমিনের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাংস উদ্ধার করে পুলিশ ও এলাকাবাসী। সোমবার ৩ নভেম্বর রাত দশটার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উওর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আসার খবর শোনার আগেই আসামি আলামিন পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়ন উওর তাফালবাড়ী গ্রামের কৃষক রনি অসুস্থ একটি গরুটি নিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে আসেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিশ্চিত হন যে গরুটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত। রনিকে গরুটি বিক্রি না করে আলাদা রাখতে পরামর্শ দেন। কিন্তু সু চতুর রনি উপজেলার কদমতলা গ্রামের মাংস বিক্রেতা কসাই আলামিনের সাথে যোগসাজেশন ৩ নভেম্বর সকালে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
পরে আল আমিন হোসেন সবার অগোচরে সন্ধায় গরুটি জবাই করে বেশিরভাগ মাংস ফ্রিজে রেখে বাকিটা বাজারে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন শরণখোলা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। পরে তিনি সাংবাদিক ও পুলিশকে খবর দেয়। ওরে পুলিশ ও জনতা আল আমিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ঘর ও পাশের বাড়ির ফ্রিজ থেকে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত গরুর মাংস উদ্ধার করে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও পুলিশের ধারণা জবাইকৃত গরুর ৩০ শতাংশ বিক্রি করে বাকি প্রায় ৭০ শতাংশ মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছগির তালুকদার অভিযোগ করেন, আল আমিন প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত বা অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি করে আসছে। আগেও এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হলেও থেমে যায়নি তার অপরাধ
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল মামুন জুয়েল বলেন, আক্রান্ত পশুর মাংস খেলে জলাতঙ্কসহ প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। এমন অপরাধ দণ্ডনীয়। জব্দ করা মাংস পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, ওই মাংস প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে ধ্বংস করা হয়েছে এবং কসাই আল আমিন মিনকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আল আমিন এর আগেও দুইবার মৃত পশুর মাংস বিক্রির অপরাধে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করেছেন।
Leave a Reply