
নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরস্থ সংগঠন আইডিয়া যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো আইডিয়া সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সের ৩য় ব্যাচের উদ্বোধন ও ২য় ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান। বুধবার বিকাল ৪টায় খড়কী পীরবাড়ি সংলগ্ন আইডিয়া ক্লাসরুমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিডিএলজি মোঃ রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) খান মাসুম বিল্লাহ । সভাপতিত্ব করেন আইডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ হামিদুল হক।
আইডিয়া সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স মূলত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে জোর দেয়। একটি কোর্সের মধ্যেই আছে প্রায় ২০ টি লেসন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য – ইংরেজি বেসিকস, পাবলিক স্পিকিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিকেশন স্কিল সহ একাধিক বিষয়। এর পূর্বেও দু’টি ব্যাচ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এই নতুন ব্যাচে ৫০ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে তিন মাসব্যাপী কোর্স করার সুযোগ পেয়েছে। একইসঙ্গে ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যারা নতুনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়, ফলে অনুষ্ঠানে তৈরি হয় এক আন্তরিক ও আনন্দঘন পরিবেশ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান বিশ্বে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি সফট স্কিলই একজন তরুণকে আত্মবিশ্বাসী ও যোগ্য করে তোলে। আইডিয়া এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।” বিশেষ অতিথি খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, “সফট স্কিল হচ্ছে এমন এক শক্তি, যা তরুণদের কর্মজীবনে সাফল্যের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ বিকাশে সহায়তা করে। চাকরির বাজারে তরুণরা পিছিয়ে থাকে এজন্যই! তবে এমন কোর্স করতে পারলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে ভালো হবে।”
সভাপতির মোঃ হামিদুল হক বলেন, “কর্মক্ষম মানুষ আর দক্ষ মানবসম্পদের মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য! আমাদের কর্মক্ষম তরুণ সমাজ একাডেমিক সার্টিফিকেট এর বাইরে যেয়ে জানে না যোগাযোগ দক্ষতা, নেই উপস্থাপন দক্ষতার মতন গুণাবলী। ফলশ্রুতিতে চাকরির বাজারে চাকরি আছে, আছে বেকারত্ব – নেই দক্ষতা। সেই লক্ষ্যেই আমার এই উদ্যোগ।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, “এই কোর্স আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। আগে মানুষের সামনে কথা বলতে সংকোচবোধ করতাম, এখন স্পষ্টভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারি।” অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং এই কোর্সের সমন্বয়ক মল্লিকা আফরোজ বলেন, “প্রথম দুই ব্যাচের শতভাগ শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় সাফল্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তরুণদের মধ্যে এই চমৎকার পরিবর্তন অবদান রাখবে সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে। এই আশা থেকেই আবারো বিনামূল্যে ৫০ জনের দায়িত্ব নেওয়া হলো।”
অনুষ্ঠানের শেষাংশে ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং ৩য় ব্যাচের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করা হয়। যশোরের তরুণ সমাজের আত্মউন্নয়ন ও কর্মদক্ষতা বিকাশে আইডিয়া’র এই উদ্যোগকে একটি বাস্তবধর্মী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply