যশোর প্রতিনিধি : “গোপনীয়তার সংস্কৃতি নয়, তথ্য প্রদানের মানসিকতা চাই”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার সকালে যশোর সরকারি এমএম কলেজে বিএনসিসি সদস্যদের অংশগ্রহণে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯–বিষয়ক একটি ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন আয়োজন করে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সনাকের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার কমা। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “তথ্য জানা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকে জানেনই না যে বাংলাদেশে তথ্য জানার একটি শক্তিশালী আইন রয়েছে।” তিনি সরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে তথ্য জানার সংস্কৃতি গড়ে ওঠার ওপর জোর দেন।
তথ্য অধিকার আইনের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিষয় নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করেন সনাক সদস্য স্বপ্না দেব নাথ। তিনি তথ্য কী, কীভাবে তথ্য চাওয়া যায়, কোন তথ্য পাওয়া সম্ভব এবং কোন তথ্য ব্যতিক্রম—এসব বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। পাশাপাশি হাতে–কলমে “ক” ফরম পূরণের পদ্ধতি ক্যাডেটদের দেখান।
প্রায়োগিক আলোচনায় ক্যাডেট ইমন ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর বা অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীদের বিষয়ে তথ্য চাওয়ার সুযোগ আছে কি না জানতে চান। ক্যাডেট সজীব জানতে চান ভূমি অফিসে সরকার নির্ধারিত ফি সম্পর্কে তথ্য চাওয়া যাবে কি না। ক্যাডেট অনন্যা সরকারি রাস্তা নির্মাণের তথ্য জানতে চাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। ক্যাডেট অর্পণ প্রশ্ন করেন সরকারি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা কে—তা কীভাবে জানা যাবে এবং ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া সম্ভব কি না। এসব প্রশ্নের উত্তর দেন টিআইবির যশোর অফিসের এরিয়া কোঅর্ডিনেটর আব্দুল হালিম এবং সনাক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার কমা।
অনুষ্ঠানের শেষে ইয়েস দলনেতা ওসমান গণি উপস্থিত ক্যাডেটদের নিয়ে টিআইবি প্রণীত দুর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ইয়েস সদস্য তানিয়া আক্তার মিলি। অনুষ্ঠানে ইয়েস সহদলনেতা সুমা সরকার, ইয়েস ফাহাদ, বিল্লাল, হাসিবুর, তরু, ফামিহা, সম্রাট, আরবী ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাম্পেইনে বিএনসিসির সেনা শাখার ৩০ জন, বিমান শাখার ৩০ জন এবং রোভার স্কাউটের ২০ জনসহ মোট ৮০ জন ক্যাডেট অংশগ্রহণ করে।