নিজস্ব প্রতিবেদক:যশোরের চিফ জুডিশিয়াল আদালতে এফিডেভিট বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আদালতপাড়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।বুধবার সকালে তিনি নিজে নাজিরখানা পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে প্রতিটি এফিডেভিট বাবদ ২০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত নাজির বিপ্লব আহমেদসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেন।
আদালতের সূত্র জানায়, ‘যশোর আদালতে ফের শুরু এফিডেভিট বাণিজ্য’ শিরোনামে বুধবার গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় এফিডেভিট বাবদ ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন নাজির নিজে। গত রোববার হাতে দায়িত্ব পেয়ে এ রীতি চালু করেন তিনি। টাকা না দিলে খারাপ ব্যবহার করছেন।সংবাদপ্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডলসহ একটি টিম নাজিরখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় নাজির বিপ্লব আহমেদ ও তার সহযোগী শাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং শেষবারের মতো সতর্ক করা হয়।
এছাড়া, এফিডেভিটের আবেদন গ্রহণের টেবিলটি নাজিরের কক্ষ থেকে বের করে বাইরে স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে এফিডেভিট ফরম কক্ষের বাইরে থেকে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সবার আগে মানুষকে সেবা দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এদিকে, নাজির বিপ্লব আহমেদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অনিয়মে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা।
ইতোমধ্যে ৪০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জেলা আইনজীবী সমিতিতে জমা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর জানান, বিপ্লবের বিরুদ্ধে অনৈতিক টাকা আদায় ও অসদাচরণের অভিযোগ ওঠায় বৃহস্পতিবার যশোর জেলা ও দায়রা জজ ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হবে। বুধবার সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এফিডেভিটের দায়িত্ব থেকে বিপ্লবকে অব্যাহতি দিতে হবে। একই সাথে টাকা নেয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে হবে।
Leave a Reply