
কাগজ ডেস্ক:ছয় মাস আগে শিলাকে বিয়ে করেন মামুন। ভালোবাসার ঘর বাঁধেন যশোর পালবাড়ির এক ভাড়াবাড়িতে। অথচ সেই শিলা স্বামীর পাশে শুয়েও মোবাইলে পর পুরুষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতেন। প্রতিবাদ করায় নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চম্পট দেন তিনি। এখন মামুন শিলার ছবি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। দিয়েছেন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগও।বুধবার দুপুরে যশোর শহরের পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব বলতে দেখা যায় পালবাড়ি এলাকার হাসানের বাড়ির ভাড়াটিয়া খোকা ড্রাইভারের ছেলে মামুনকে।
এসময় তিনি আর্তনাদ করে বলেন, আমার বউ আর টাকা ফেরত এনে দিন। থানায় দেওয়া অভিযোগে মামুন উল্লেখ করেন, তিনি শাপলা পরিবহনের একজন হেলপার। ছয় মাস আগে কেশবপুরের শিলা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে জানতে পারেন, তিনি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িত। তার স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। বাড়ির কোনো কাজ না করে সারাদিন ফোনে কথা বলেন। কিছু বললেই এদিক-সেদিক চলে যান। যা ইচ্ছা তাই করেন।
প্রতিবাদ করলেই নানা রকম হুমকি-ধমকি দেন। একপর্যায়ে গত ২৩ জুন সকালে বাড়িতে এসে মামুন দেখতে পান, তার স্ত্রী, নগদ টাকা ও মালামাল কিছুই নেই। এরপর কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।মামুন বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর তাকে পুরাতন কসবা ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়। মঙ্গলবার সেখানে গেলেও যার নম্বর দেওয়া হয়েছিল তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন সকালেও বারবার কল করেও কোনো সাড়া পাননি। এই কথা বলতে বলতেই মামুন হাউমাউ করে কান্না শুরু করেন। শেষমেষ স্ত্রীর খোঁজে রাস্তায় আনমনে হাঁটতে থাকেন।এসময় তার পরিচিত এক সিএনজি চালক বলেন, মামুন আগে বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করতেন, তিনি একদম সুস্থ মানুষ ছিলেন। কিন্তু স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।
কাজ ছেড়ে দিয়ে এখন শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে স্ত্রীর খোঁজ করছেন আর কাঁদছেন।বিষয়টি নিয়ে শিলার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মামুনের অভিযোগে দেওয়া নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।এ বিষয়ে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুব্রত সরকার বলেন, তিনি বুধবার সকাল থেকে জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভার মিটিংয়ে ছিলেন, তাই মামুনের সঙ্গে দেখা হয়নি। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply