বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার ফলে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গতকাল রাত থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। নিম্নচাপ ও অমাবস্যার যুগপৎ প্রভাবে জেলায় নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সুন্দরবনের করমজল, দুবলার চর, কটকা, কচিখালী, শেলার চরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকা ২-৩ ফুট উচ্চতায় ডুবে যায়। এ সময় শেলার চর টহল ফাঁড়ির কাছে নদীতে ভেসে যাওয়া একটি হরিণ উদ্ধার করেন বনরক্ষীরা।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বনের অভ্যন্তরে উঁচু টিলা তৈরি রয়েছে, যাতে পানি বাড়লেও বন্যপ্রাণীরা নিরাপদ আশ্রয় পেতে পারে।”
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাবে বাগেরহাটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব আগামী ২ থেকে ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহনের কাজ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
Leave a Reply